Home / মোঃ শহীদুল আলম, এনডিসি

মোঃ শহীদুল আলম, এনডিসি

তিনি জেলা প্রশাসক হিসেবে  (২০১২ থেকে ২০১৫) বরিশাল জেলায় প্রায় ০৩ বছর দায়িত্ব পালন করেন এবং তৎপূর্বে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে (২০০৮ থেকে ২০১২) সিলেট জেলায় ০৪ বছর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৮ সালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স (ndc) সম্পন্ন করেন।

 

এছাড়াও যুগ্মসচিব হিসেবে তিনি ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন-এর পরিচালক ও ২০১৫ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে উপসচিব হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। মাঠ প্রশাসনে তার দীর্ঘ ২৪ বছরের সফল অভিজ্ঞতায় তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে ০৪ বছর, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে ০৩ বছর দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট, দ্রুত বিচার আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট, ম্যাজিস্ট্রেট মেরিন কোর্ট এবং এসি ল্যান্ড হিসেবে কাজ করেন।

সৃজনশীল ও মননশীল কর্মকর্তা হিসেবে তিনি ২০১৪ সালে বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন এবং ২০১৪ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় পর্যায়ের জন্য প্রবর্তিত National Award for Anti-Tobacco Awareness Role পুরস্কার পেয়েছেন।

 

তিনি টেনিস খেলা, আবৃত্তি, অনুষ্ঠান উপস্থাপনা, মেন্টরিং এবং সৃজনশীল প্রশাসনিক কাজে সুনামের অধিকারী। তিনি বিশ্বাস করেন, দেশাত্ববোধে আমরা পরস্পর পরিপূরক। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের Theme Song “….এই বাংলার মাটি বঙ্গবন্ধুর প্রাণ” এবং ২০১৯ সালের স্লোগান – “জেনে বুঝে বিদেশ গেলে, অর্থ-সম্মান দুই-ই মেলে” এবং ২০২০ সালের মুজিববর্ষের স্লোগান “মুজিববর্ষের আহবান, দক্ষ হয়ে বিদেশ যান” রচনা করে প্রশংসিত হন। অতঃপর ২০২১ সালের মন্ত্রণালয়ের স্লোগান “শতবর্ষে জাতির পিতা সুবর্ণে স্বাধীনতা, অভিবাসনে আনবো মর্যাদা ও নৈতিকতা” যৌথভাবে রচনা করেন।

 

সৃষ্টিশীল লেখক হিসেবে ইতোমধ্যে আগামী প্রকাশনী, ঢাকা থেকে তার ০৪টি কাব্য (অন্তরীক্ষে নয় অন্তরে, শিশির হতে ইচ্ছে করে, স্বপ্নগুলো তোমাকে দিলাম, বর্ণ বর্ধিত হোক বোধ ও বিদ্রোহে) ও ০২টি প্রবন্ধ (অশুভ দুয়ার রুদ্ধ হোক, মমতায় রাখি বুকের গভীরে) গ্রন্থসহ মোট ০৮টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। প্রশিক্ষণ ও দাপ্তরিক কাজে তিনি জাপান, চীন, অস্ট্রেলিয়া, ইউকে, মালদ্বীপ, উজবেকিস্তান, মরিশাস, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনাম সফর করেছেন।

 

যশোর জেলার কৃতি সন্তান, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের পক্ষে নিবেদিত প্রাণ এবং দেশের জন্য অবদান রেখেছেন এমন জ্ঞানী-গুণী মানুষেদের সংগে পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ। বৃহত্তর যশোর জেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (১৯৪৯ সাল) খড়কীর মরহুম পীর শাহ আব্দুল খায়ের সাহেব দোহিত্রী ওয়াহিদা ফেরদাউস তাঁর সহধর্মীনি। তিনি এক পুত্র সন্তান ও এক কন্যা সন্তানের জনক।